একেই বলে কপাল! ছিলেন পিৎজা ডেলিভারি ম্যান। আর রাতারাতি তিনি ৫ লাখ পাউন্ড বা কমপক্ষে ৭ কোটি টাকার মালিক। না, কথাটা একটুও বাড়িয়ে বলা নয়। বৃটেনের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের তামওয়ার্থে বসবাস করেন ২৮ বছর বয়সী পিৎজা ডেলিভারি ম্যান মারিয়াস প্রেদা।
‘বেস্ট অব দ্য বেস্ট (বিওটিবি)’ লটারি জিতে ঘুরে গেছে তার ভাগ্যের চাকা। এ খবর দিয়েছে দ্য মেট্রো। লটারির এই অর্থ তার বার্ষিক আয়ের প্রায় ২০০ গুন। ফলে, এই প্রাপ্ত অর্থে তার জীবনের চাকা এখন পাল্টে যাবে।
অনেক বছর ধরে ঘন্টায় ১২ পাউন্ড করে আয় করছিলেন মারিয়াস প্রেদা। তা নিয়ে পিতা জন প্রেদা, নিজে, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কোনো রকমে দিন কাটছিল তার। কিন্তু অকস্মাৎ এমন চমক হয়তো তিনি আশাও করেননি।
তার অতীতকে ভুলিয়ে দিয়েছে। তার কল্পনাকেও অতিক্রম করে গেছে। মারিয়াস প্রেদা এখন এই অর্থ ব্যয় করে একটি নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখছেন। যেতে যান দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অবকাশ যাপনে। সেটি হতে পারে তার দেশ রোমানিয়ায়। ভাগ্যের কারণে ২০১৯ সালে তিনি দেশ ছেড়েন।
আর্থিক এই আকস্মিক পট পরিবর্তন সত্ত্বেও মারিয়াস প্রেদা তার কাজকে সম্মান করেন। তিনি পিৎজা ডেলিভারিম্যান হিসেবেই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ কাজে প্রতি সপ্তাহে তার আয় হয় ৪৮০ পাউন্ড। যেটা কি না দাড়ায় বছরে ২৪ হাজার ৯৬০ পাউন্ড। তারপরেও তিনি সৎ উপার্জনের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেতে চান। তিনি যখন লটারি জেতার খবর পেয়েছেন এবং তার জীবন পাল্টে যাওয়ার এ খবর পান, তখনও তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই কাজ চালিয়ে গেছেন খবর পাওয়ার পরও।
বিওটিবির এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার হলো ৫ লাখ পাউন্ড। তা মারিয়াস প্রেদা ও তার পরিবারের জন্য বিশ্বে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই অর্থ দিয়ে তিনি তার ভবিষ্যত জীবন চলার পথকে মসৃণ করতে চান। তিনি মারিয়াস প্রেদার কাজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। তার কাজে আত্মনিবেদনের প্রশংসা করেছেন বিওটিবির মুখপাত্র।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post