মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের ওপর দেশটির সরকার ‘হঠাৎ স্থগিতাদেশ’ দেয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। স্থগিত দেয়ার সময় ওমানের পক্ষ থেকে ‘সাময়িক’বলা হলেও গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশীদের নামে কোনো ভিসা ইস্যু করা হয়নি।
তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অর্ধশতাধিক নারী প্রবাসী ব্যুরো থেকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ওমানে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই তৃতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজারটি কেন এবং কী কারণে এখনো বন্ধ হয়ে আছে সে ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইং থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জনশক্তি প্রেরনের সাথে সম্পৃত্তরা বলছেন, ওমানের শ্রমবাজারটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই মার্কেটটি খোলার ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশীদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয় ওমান সরকার। রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) এর পক্ষ থেকে বলা হয়, সব শ্রেণীর বাংলাদেশী নাগরিকদের নতুন ভিসা ইস্যু স্থগিত কার্যকর হবে। ওমানে টুরিস্ট ও ভিজিট ভিসায় আসা প্রবাসীদের ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগও একই সাথে স্থগিত থাকবে।
রয়্যাল পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, নীতি পর্যালোচনার আওতায় ওমানে আসা সব দেশের নাগরিকদের জন্য (আরওপি) সব ধরনের টুরিস্ট ও ভিজিট ভিসার পরিবর্তন স্থগিত করেছে। এর আগে, প্রবাসীরা ভিজিট ভিসায় ওমানে প্রবেশ করে পরে তা কর্মসংস্থান ভিসায় রূপান্তর করতে পারতেন।
এদিকে,নতুন আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ওমান দূতাবাস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, ওমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের মূল্যায়ন করার পাশাপাশি বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবদানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
এমন ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ‘সিদ্ধান্তটি হঠাৎ করেই এসেছে। এটা খুবই সাময়িক। আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমে খুব শিগগির এর সমাধান হবে’। এই ঘোষণার পর চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। একইভাবে ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসও এই সিদ্ধান্তকে তখন ‘অস্থায়ী’বলে অভিহিত করেছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭টার দিকে (বাংলাদেশ সময়) ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর মো: রফিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি রাষ্ট্রদূতের অনুমতি ছাড়া কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post