মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে আবারও ফিরে এলো পবিত্র মাহে রমজান। রোজা আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে বড় আমল। সন্তুষ্টি অর্জনের উজ্জ্বল সোপান। রোজা পালনের ফজিলত ও প্রতিদান দেন আল্লাহ নিজে। আল্লাহর কথা প্রিয় নবীর কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে, ‘সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশগুণ।’ –সহিহ বোখারি: ১৮৯৪
রমজানের রোজা মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই এই রোজা হতে হবে ত্রুটিমুক্ত। অনেকেই জানে না যে, রোজা রেখে কী কী কাজ করা যাবে কিংবা কী করা যাবে না।
রোজা রেখে যা যা করা যাবে:
রোজা রেখে চুল, নখ ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটা যাবে। হাতে-পায়ে, মুখে-শরীরে তেল, ক্রিম কিংবা ভ্যাসলিন দেওয়া যাবে। ঠোঁটে লিপস্টিক ও ভ্যাসলিন দেওয়া যাবে (যদি মুখের ভেতরে না যায়)।
টুথপেস্ট ব্যবহার করে ব্রাশ করা যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন টুথপেস্টের স্বাদ গলার ভেতরে না যায়, গেলে রোজা ভেঙে যাবে তাই সতর্কতা হচ্ছে, রোজা অবস্থায় পেস্ট দিয়ে ব্রাশ না করে মিসওয়াক করা।
রোজা রেখে চোখে কাজল, সুরমা, আইলাইনার ও ড্রপ দেওয়া যাবে। গায়ে আতর, সেন্ট, বডি স্প্রে ও পাউডার দেওয়া যাবে (তবে এর কোনো ছিটা যেন মুখে না যায়)।
মুখে অক্সিজেন নেওয়া যাবে (তবে অন্য মেডিসিন, দৃশ্যমান কিংবা তরল- মেশানো থাকলে নেওয়া যাবে না)। জরুরি প্রয়োজনে ইনজেকশন দেওয়া যাবে। থুতু গেলা যাবে। অজুর কুলির পর মুখ ঝেড়ে পানি ফেলার পর মুখে থুতুর সঙ্গে যা থাকে তা গেলা যাবে।
জিহবার আগা দিয়ে খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে (তবে না গিলে তা ফেলে দিতে হবে)।
রোজা রেখে যা যা করা যাবে না:
ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া যাবে না, ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া ও নাকের একদম ভেতরে পানি পৌঁছানো যাবে না (স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাক পরিষ্কার করবে), সিগারেট-বিড়ি-হুক্কা টানা যাবে না, স্বামী-স্ত্রী সহবাস করা যাবে না।
রোজা রাখা অবস্থায় মুখ দ্বারা ওষুধ সেবন করা যাবে না। অনুরূপভাবে কান, নাক ও মলদার দ্বারাও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এতে রোজা ভেঙে যায়।
দিনের বেলায় হিজামা বা সিঙ্গা লাগানো যাবে না। কেউ ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। কেউ যদি হস্তমৈথুন করে, আর তাতে বীর্জপাত হয় তাতে রোজা ভেঙে যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post