সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর একই পথে হাঁটছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক মুসলিম প্রধান দেশ ওমান। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকারী পরবর্তী আরব দেশ হতে যাচ্ছে ওমান। রোববার (২৫ অক্টোবর) ইসরাইলি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরাইলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, দেশটির কর্মকর্তারা আশাবাদী খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করবে ওমান।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সম্ভবত ইসরাইল-ওমান সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি মার্কিন নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে ইসরাইলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত মাস্কাট কোনো মন্তব্য করেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদানের প্রসঙ্গ টেনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আরো দেশ তাদের অনুসরণ করবে।
এর আগে ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত এবং বাহরাইনের সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলো ওমান। ২০১৮ সালের আকস্মিক সফরে ওমান যান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সফরে ওমানের প্রয়াত সুলতান কাবুস বিন সাঈদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তিনি।
এদিকে ৫ম আরব দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করে সুদান। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিশর, ১৯৯৪ সালে জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ২০২০ সালে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তি করে। তবে এই চুক্তিকে তাদের ‘পিঠে আরও একবার ছুরিকাঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিন।
আরো পড়ুনঃ রহস্যময় ওমানের সুলতান
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, কমপক্ষে আরও পাঁচ আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির করতে আগ্রহী। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদকের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে চুক্তি পাকা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আরো দেখুনঃ ওমান প্রবাসীদের জন্য সুখবর
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post