বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে সোমবার (৪ মার্চ) কলকাতা থেকে নজরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, তিনি স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভুয়া ই-মেইল করে দিল্লি বিমানবন্দরের বোমাতঙ্ক ছড়ান। এ ঘটনার জেরে তদন্ত করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স কলকাতার নিউমার্কেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নজরুল ইসলাম ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি, এমন মিথ্যা কথা বলে ২০২৩ সালে সোনিয়া নামের ভারতের নয়াদিল্লির এক নারীকে বিয়ে করেন।
পাঞ্জাবের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় ওই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তার। মাস্টার্স শেষে ২০২০ সালে নজরুল বাংলাদেশে ফিরে আসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বিয়েও করেন তারা।
পুলিশ আরও জানায়, বিয়ের পর থেকে নজরুলের স্ত্রী সোনিয়া তাকে বারবার যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন নজরুল। এমনকি স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন দিল্লিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারছেন না তিনি। কলকাতায় আটকে পড়েছেন। এতেই সন্দেহ হয় সোনিয়ার।
গত ২৭ তারিখ সোনিয়া তার ভাই অমর দীপ কুমারকে কলকাতায় নজরুলের সত্যতা যাচাই করতে পাঠালে তা আগেভাগেই জেনে যান নজরুল। শ্যালককে দিল্লি বিমানবন্দরেরই আটকে দিতে দিল্লি থেকে কলকাতাগামী স্পাইসজেটের ফ্লাইটে এক যাত্রী বোমা বহন করছেন বলে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া ইমেইল পাঠান তিনি। আর এতেই বোমাতঙ্ক ছড়ায় বিমানবন্দরজুড়ে।
কলকাতায় পুলিশ জানিয়েছে, নজরুল কলকাতার নিউমার্কেটের একটি হোটেলে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। স্ত্রীকে মিথ্যা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রতারণা করে লুকিয়ে থাকতেই কলকাতায় থাকেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত নজরুলের পাসপোর্ট, ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post