সৌদি আরবে দেশজুড়ে এক সপ্তাহের অভিযানে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রায় ১৫ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রোববার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশজুড়ে চালানো এক সপ্তাহের অভিযানে ১৪ হাজার ৯৫৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে সৌদির এই মন্ত্রণালয় জানায়, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৯ হাজার ৮০ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৩ হাজার ৮৮ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় আরও ২ হাজার ৭৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার সময় ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে সৌদি ত্যাগের চেষ্টা করায় আরও ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
একই সময়ে সৌদির আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৫৭ হাজার ৭৮৭ জন আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টাও চলছে।
এদিকে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ৪০১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১০ হাজার ২৫৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর এক হাজার ৭৬৩ জনকে ফেরত পাঠানোর নথিপত্র চূড়ান্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post