মধ্যপ্রাচ্য দেশ কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৪৮ লাখ ৫০ হাজার জনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ১৫ লাখ নাগরিকের বাস। অবশিষ্ট ৩৩ লাখ অর্থাৎ জনসংখ্যার সত্তর শতাংশই বিভিন্ন দেশের অভিবাসী। প্রায় অর্ধকোটি জনগণের মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পশু-পাখি আমদানি করে থাকে কুয়েত।
কুয়েতের বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখ্য পশু বিক্রয়ের বাজার শুয়েখ, জাহারা, কাবাদ, সোলাইবিয়া এবং অফরা। এই সকল বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় হল কাবাদের পশুর হাট। এই বাজারে গরু, ছাগল, উট ও দুম্বাসহ নানা জাতের পশু বিক্রয় করা হয়।
এক সময় এই বাজারে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তবে শ্রম, মেধা আর অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে শ্রমিক থেকে এখন তারা ব্যবসায়ী বনে গেছেন। এই বাজারের ৮০ শতাংশ বিক্রেতা বা ব্যবসায়ীই এখন বাংলাদেশি।
সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পশু-পাখি আমদানি করেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। আমদানির পর সেসব পশু তারা দেশটির বাজারে বিক্রি করছেন। আসন্ন রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে রেখে কুয়েতে এরই মধ্যেই পর্যাপ্ত পশু আমদানি করা হয়েছে।
কুয়েতের বাজারে এ কারণে আগের চেয়ে অনেক কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গরু। কিছুদিন আগেও যে গরুর মূল্য চারশ’ দিনারের ওপরে ছিল, এখন সেটা তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ দিনারে বিক্রি হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় দুম্বার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পশু ব্যবসার সাথে জড়িতরা বলেন, কুয়েতে ব্যবসা করতে হলে আগে আরবি ভাষা শেখাটা জরুরি। এরপর প্রয়োজন ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা। তাহলেই সামান্য পুঁজি দিয়েই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
বর্তমানে কুয়েতে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিই এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অনেকেই নতুন করে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঝুঁকছেন বিভিন্ন ব্যবসায়। এই প্রতিষ্ঠানিক প্রয়াস করে তারা নিজেদের একটি স্থায়ী অবস্থান গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন এবং কুয়েতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post