বিদেশগামী বিমান থেকে বিমানকর্মী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও এমন ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল না। পাকিস্তানের অনেক যুবক-যুবতী আগেই এই পন্থা অবলম্বন করে কানাডায় পৌঁছে উধাও হয়ে গেছে। মারিয়ামও তাদেরই পথ অনুসরণ করেছেন। এই বছরের জানুয়ারিতে ফাইজা মুখতার নামের এক বিমানকর্মী একইভাবে উধাও হয়ে যান।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে বিমানসেবিকার কাজ করতেন মারিয়াম রাজা নামের এক যুবতী। সম্প্রতি বিমানে করে পাকিস্তান থেকে কানাডার টরন্টোতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পরের দিন বিমান নিয়ে করাচি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিমান নিয়ে যাওয়ার উপর উধাও হয়ে যান মারিয়াম।
পরের দিন করাচি ফেরার বিমানে ডিউটিতেও আসেননি তিনি। তখন তাঁর খোঁজ করলেও কোথায় পাওয়া যায়নি তাঁকে। তবে হোটেল ঘরে রেখে যাওয়া চিরকূটে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। হোটেলের ঘরেই পড়েছিল তাঁর পোশাক। এখনও অবধি তাঁর খোঁজ মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, কানাডায় থাকার জন্যই তিনি আর পাকিস্তানে ফেরেননি।
তবে বিমান নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিমানকর্মীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে এমন ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল তা নয়। পাকিস্তানের প্রচুর যুবক-যুবতী এ ভাবেই কানাডায় নেমে উধাও হয়েছেন। মারিয়াম সেই ট্রেন্ডই ফলো করেছেন। এ বছর জানুয়ারি মাসে ফাইজা মুখতার নামের এক বিমানকর্মী এ ভাবেই উধাও হয়েছিল। মারিয়ামের উধাও হওয়া এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
২০২৩ সালেও বেশ কয়েক বার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। গত বছর মোট ৭ জন বিমান সেবিকা এ ভাবে কানাডা গিয়ে উধাও হয়েছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post