বুধবার সন্ধ্যা নামতেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয় মাস্কাট, সুইক, ইব্রিসহ ওমানের বিভিন্ন অঞ্চলে। সময় গড়ালে বৃষ্টিপাতের মাত্রাও ভারী হতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালের আগেই এসব অঞ্চলের নিচু এলাকা ডুবতে আরম্ভ করে, ওয়াদিতে বাড়তে থাকে পানির স্রোত। আল বাতিনাহ, সাহাম এবং সুইকে শিলাবৃষ্টিও ঝড়তে দেখা যায়। এদিন সকালেই ইব্রির ওয়াদিতে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ি থেকে একজন মহিলাকে উদ্ধারের খবর দেয় সিভেল ডিফেন্স। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে আরও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজকি-সিনাও ছাড়াও উপত্যকা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সড়ক ডুবে গিয়ে স্রোতধারা তৈরি হওয়ার কথা জানায় ওমান পুলিশ। পরে এসব সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়। বেশিরভাগক্ষেত্রেই এই স্রোত পাড়ি দিতে গিয়ে গাড়িসহ বাসিন্দারা ভেসে যাচ্ছেন। তাই বিপদ বুঝেও যারা ওয়াদি পাড় হওয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
আবহাওয়া বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, আল বুরাইমি, আল দাহিরাহ, দক্ষিণ ও উত্তর আল বাতিনা এবং আল শারকিয়াতে শুক্রবার পর্যন্ত এই বর্ষণ স্থায়ী হতে পারে। একইসময়ে সামুদ্রিক ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ায় সমুদ্রে চলাচল ও ভ্রমণে পর্যটক, নাবিক এবং জেলেদের সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির সময়গুলোতে ওয়াদি পাড় হতে গিয়ে প্রবাসীসহ বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবারও বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার সময় সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। এছাড়া আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post