শরীরচর্চা বা বডি বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে জিংক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি পেশী তৈরি, পুনরুদ্ধার এবং টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিংক প্রোটিন সংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা পেশী বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। এটি পেশী টিস্যুর মেরামত এবং পুনর্গঠনেও সহায়তা করে।
জিংক খুব উপকারী এই ধারণা নিয়ে ২৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ঘটালো এক অদ্ভুত ঘটনা। জিংক খুব উপকারী এই ধারণাটি তার ছিল কিন্তু ছিল না জিংকের কোনও ওষুধ। তখন তিনি ভাবেন যে ধাতব মুদ্রা ও চুম্বকে জিংক থাকে। এই ধারণা নিয়ে এক ব্যক্তি ধাতব মুদ্রা ও চুম্বক গিলে ফেলেছেন।
এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ভারতের দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে এক ব্যক্তির পেট থেকে ৩৯টি (কয়েন) ধাতব মুদ্রা ও ৩৭ খণ্ড চুম্বক বের করেছেন। শরীরচর্চায় (বডি বিল্ডিং) জিংক খুব উপকারী এই ধারণা নিয়ে ওই ব্যক্তি ধাতব মুদ্রা ও চুম্বক গিলেছিলেন বলে জানা গেছে। বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এর আগে তিনি টানা ২০ দিন বমি করছিলেন ও পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। তিনি কোনো কিছু খেতে পারছিলেন না। ওই রোগীর স্বজনেরা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই ব্যক্তি ধাতব মুদ্রা ও চুম্বকখণ্ড খাচ্ছিলেন। তাঁর মানসিক অসুস্থতা রয়েছে। সে জন্য চিকিৎসাও চলছিল।
রোগীর স্বজনেরা তাঁর পেটের একটি এক্স–রে করেন। এতে তাঁর পেটে ধাতব মুদ্রা ও চুম্বক খণ্ডের মতো অস্বচ্ছ কিছু বস্তু দেখা যায়। পরে সিটি স্ক্যানে তাঁর পেটে অনেক ধাতব মুদ্রা ও চুম্বকখণ্ড দেখা যায়। এতে তাঁর অন্ত্রের কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর দ্রুত অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অস্ত্রোপচারের সময় ছোট অন্ত্রের মধ্যে দুটি আলাদা ছিদ্রে ধাতব মুদ্রা ও চুম্বকখণ্ড পাওয়া যায়। চুম্বকের আকর্ষণ দুটি ছিদ্রকে এক জায়গায় টেনে এনেছে। অন্ত্রগুলো খুলে ধাতব মুদ্রা ও চুম্বকখণ্ড বের করা হয়। রোগীর পুরো পেট পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে আরও বেশ কিছু ধাতব মুদ্রা ও চুম্বকের খণ্ড পাওয়া যায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, পেট থেকে ১, ২ ও ৫ রুপির মোট ৩৯টি ধাতব মুদ্রা ও হার্ট, গুলি, তারাসহ নানা আকৃতির ৩৭ খণ্ড চুম্বক বের করা হয়েছে।
অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকেরা রোগীর আবার একটি এক্স–রে করেন। এতে দেখা যায়, রোগীর শরীর থেকে সবকিছুই বের করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগীর শরীরে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং সাত দিন পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন ভালো আছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post