রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তিনটি সরকারি হাসপাতালসহ চারটি হাসপাতাল থেকে আজ বুধবার রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ৩৬ জন দালালকে আটক করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাঁদের আটক করা হয়।
অভিযান তদারকি কর্মকর্তা র্যাব-২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর নাজমুল্লাহিল ওয়াদুদ গণমাধ্যমকে বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের কমিশনভিত্তিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান।
এ সময় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ১৭ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ১২, আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতাল থেকে ৪ ও পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। র্যাব-২-এর চারটি দল পৃথকভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করে। বেলা ১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতালগুলোয় দালালবিরোধী অভিযান চলছিল।
মেজর ওয়াদুদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগী আসামাত্রই দালালেরা রোগীর পিছু নিয়ে রোগীদের বিভ্রান্তি করেন। তাঁরা রোগী ও তাঁদের সঙ্গে আসা স্বজনদের বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ভালো না। এখানে চিকিৎসক এখনো আসেননি। এখানে বেড খালি নেই। বাইরের হাসপাতালে গেলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে, সেখানে খরচও কম।’ এভাবে প্রলুব্ধ করে তাঁদের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁরা চুক্তিমতো কমিশন পান।
র্যাবের কর্মকর্তা ওয়াদুদ বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোয় আরেক দালাল চক্র তৎপর থাকে। তারা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগী বের হলে রোগীদের ঘিরে ধরে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রটি তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে জোর করে ছবি তুলে নেয়। পরে তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে তাদের চুক্তিভিত্তিক ওষুধ কোম্পানির ওষুধ লিখতে প্রভাবিত করে। আটক দালাল চক্র নিয়ে আজ বেলা দেড়টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post