বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সোনা পাচারকারীরা। প্রায় প্রতি মাসেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কিংবা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সোনা। নানা কৌশলে সোনা পাচার হচ্ছে। সোনার বাহকরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতারা বরাবরই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সোনা চোরাচালানে এখন ঢাকার সাথে টক্কর দিচ্ছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরও। কর্মকর্তারা একে অপরকে দুষছেন। সোনা আটকের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তদের শনাক্তও করা যাচ্ছে না।
১৩ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ৩৮ দিনে সাতটি চালানে ধরা পড়েছে প্রায় ১৯ কোটি টাকার ২০ কেজি সোনা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওমান এয়ারের একটি ফ্লাইটে আসা যাত্রীর আসন থেকে ৭ কেজি ৪২৪ গ্রাম ওজনের ৬৪টি সোনার বার জব্দ করেন বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছরে শুধু শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে আনা ১৩৪ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ১০টির বেশি সোনার চালান ধরা পড়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post