বিমানের গতিতে চলবে ট্রেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এমন দ্রুতগতির ট্রেন আনতে যাচ্ছে একটি দেশ। কেমন গতি থাকবে এই ট্রেনে? কোন দেশইবা চালু করতে যাচ্ছে উচ্চগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা? সব ধরনের তথ্য দেওয়া হবে আজকের এই আর্টিকেলে।
সময় বাঁচাতে বেশিরভাগ মানুষ সম্ভব হলে বিমান ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। কিন্তু অনেক দেশে দ্রুতগতির ট্রেন থাকার কারণে মানুষ অল্প সময় ভ্রমণ করতে পারেন। ফলে বিমানের উপর তারা পুরোপুরি নির্ভরশীল নন। বিমানের উপর চাপ কমাতে বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। তারা এমন দ্রুতগতির ট্রেন নিয়ে আসবে যা জাপানে এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এটার গতি হবে ঘন্টায় ৬০০ কিলোমিটার। প্রথাগত ইস্পাতের চাকা এখানে ব্যবহার করা হবে না।
এটি উচ্চ তাপমাত্রার সুপার কন্ডাক্টিং শক্তির উপর ভিত্তি করে চলবে। এটিকে চুম্বকীয় ট্র্যাক এর উপর ভাসমান অবস্থায় দেখায়। প্রচলিত ট্রেনের চাকা রেলপথের ট্র্যাক স্পর্শ করে থাকে। কিন্তু চীনের ম্যাগলেফ ট্রেনের চাকা রেলপথের ট্র্যাক স্পর্শ করবে না। ট্র্যাক স্পর্শ না করার ফলে কোন ঘর্ষণ তৈরি হবে না।
এজন্য এ ধরনের ট্রেনের গতি স্বাভাবিক ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। ম্যাগলেফ ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির অ্যারোস্পেস এজেন্সি (সিএএস) জানিয়েছে যে, পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি চালানোর সময় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত এটি যেতে সক্ষম হয়েছে।
তাই ধারণা করা হচ্ছে চীন হয়তো শীঘ্রই বিমানের মত সমান গতিতে চলতে পারে এমন ধরনের ট্রেন নিয়ে আসতে সক্ষম হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ যে ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে শুধু সিস্টেম নয় বরং বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত দিক সামনে এসেছে।
চীনের এ ধরনের গবেষণা মহাকাশ এবং স্থল পথের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এখানে ৬২৩ কিলোমিটার এর জায়গায় ১ হাজার কিলোমিটারের গতিতে ট্রেন নিয়ে আসা সম্ভব হবে। বায়ুশূন্য টিউবের মধ্য দিয়ে ট্রেনের গতি ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post