পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর নাতিয়াবোনিতে সোমবার ভোরে নামাজের সময় একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে বহু মুসল্লি নিহত হয়েছে। হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, যার ফলে বহু মুসল্লি নিহত ও আহত হন। হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা বেশ উচ্চ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বুরকিনা ফাসো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি গির্জায় হামলা চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যার ঘটনার একই দিনে একটি মসজিদে কয়েক ডজন লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন মুসল্লিরা ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভোরে নামাজের সময় বন্দুকধারীরা আফ্রিকার এই দেশটির নাতিয়াবোয়ানি শহরের ওই মসজিদটি ঘিরে ফেলে। এই ঘটনায় নিহতদের সবাই মুসলিম এবং তাদের বেশিরভাগই পুরুষ। বুরকিনা ফাসোর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীরা ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বুর্কিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির একটি। দেশটির মোসসি জাতির লোকেরা বহু শতাব্দী আগে এখানে যে রাজ্য স্থাপন করেছিল, তা ছিলো আফ্রিকার সবচেয়ে প্রাচীন রাজ্যগুলোর একটি। কিন্তু বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
অন্যদিকে দেশটির কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। গেলো তিন বছরে দেশটির মসজিদ ও গির্জাগুলোকে বারবারই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
এই মাসের শুরুতে বুরকিনা ফাসোর সামরিক-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরে বলেছিলেন, প্রয়োজনে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাশিয়ান সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post