ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ কোটির বেশি অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। শ্বেতা শর্মা নামের এক নারী অভিযোগ করেছেন যে, এক ব্যাংকের ম্যানেজার তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ কোটিরও বেশি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, তিনি তার আমেরিকান অ্যাকাউন্ট থেকে আইসিআইসিআই ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর করেছিলেন। আশা করেছিলেন যে এটি স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ করা হবে। কিন্তু তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান। খবর বিবিসির।
২০১৯ সালে দিল্লির গুরুগ্রাম এলাকায় একটি এনআরই অ্যাকাউন্ট খোলেন সেই নারী। এনআরই অ্যাকাউন্ট হলো, প্রবাসী ভারতীয় যারা দেশে থাকেন না, কিন্তু বিদেশ থেকে তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ দেশের কোনো ব্যাংকে জমা রাখতে পারেন। শ্বেতা শর্মা এরপর থেকে সেই অ্যাকাউন্টেই তার অর্থ জমা রাখতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ এই চার বছরে সারা জীবনে অর্জিত প্রায় ১৩ কোটি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ১৭ কোটি) আমরা ব্যাংকে জমা রাখি যা মুনাফাসহ এখন ১৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ২১ কোটি) হওয়ার কথা। কিন্তু আমি দেখলাম আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। তিনি অভিযোগ আনেন, ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, এমনকি তার স্বাক্ষর নকল করার পাশাপাশি ডেবিট কার্ড এবং তার নামে ভুয়া চেক বই সংগ্রহ করে এই অপরাধ করেছে।
এ বিষয়ে ব্যাংকের একজন মুখপাত্র বলেন, তাদের ব্যাংকে বিভিন্ন গ্রাহকদের সব মিলিয়ে ট্রিলিয়ন টাকা গচ্ছিত রয়েছে। এর আগে এমন কিছু ঘটেনি। তবে যে-ই অপরাধ করুক তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রায় এক দশক সময় বিদেশে অবস্থান করে দেশে ফেরেন শ্বেতা শর্মা ও তার স্বামী। ইতোমধ্যে তিনি ব্যাংকটির সিইও এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বরাবর চিঠি দিয়েছেন। আরও অবহিত করেছেন দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন ইউনিটকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post