ওমানে সুপ্রিম কমিটির আইন লঙ্ঘনকারীদের নাম ছবি প্রকাশ, আইন লঙ্ঘনের শীর্ষে বাংলাদেশীদের নাম
ওমানে মহামারী করোনা নিয়ন্ত্রণে একের পর এক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে দেশটির সরকার। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন সহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সুপ্রিম কমিটি। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মোটা অংকের জরিমানা সহ দীর্ঘ মেয়াদী জেল এবং প্রবাসী হলে ওমান থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো কঠোর আইন ও রয়েছে দেশটিতে। এর মাঝেও অনেক প্রবাসী সুপ্রিম কমিটির আইন লঙ্ঘন করছেন এমন চিত্র উঠে এসেছে ওমান সুপ্রিম কমিটির এক প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার ওমান সুপ্রিম কমিটির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের একটি নামের তালিকা মিডিয়াতে প্রকাশ করে ওমান সরকার। প্রথমবারের প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনে মোট ৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে একজন ওমানি নাগরিক এবং একজন ভারতীয় নাগরিক ব্যতীত বাকি ৭জনই বাংলাদেশী নাগরিক। গতকাল (১৫-অক্টোবর) ওমানের একটি আদালত এই ৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি রায় প্রদান করেন।
আটককৃত এই ৯ জনের মধ্যে ওমানি নাগরিকের ৬ মাসের জেল এবং ১ হাজার রিয়াল জরিমানা করেছেন দেশটির বুরাইমি প্রাইমারি আদালত। অপর ৮ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ৫০০ রিয়াল (যা বাংলাদেশী মুদ্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা) জরিমানা এবং ওমান থেকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এমন রায় দিয়েছেন ওমানের সুর প্রাথমিক আদালত।
আরো পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ ঘোষণা
উল্লেখ্য: ওমান সুপ্রিম কমিটির আইন অনুযায়ী কোনো প্রকার গনজমায়েত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। অনেকেই বাসার ছাদে জামাতে নামাজ আদায় করেন, যা দেশটির সুপ্রিম কমিটির আইন অনুযায়ী অপরাধ। এমতাবস্থায় ওমানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশী প্রবাসীদের ওমান সুপ্রিম আইন শতভাগ মেনে চলতে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত বিশিষ্ট বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
সুপ্রিম কমিটির প্রকাশিত নামের তালিকাআটককৃত ৭ বাংলাদেশী প্রবাসীর নামঃ
১, আহমাদ হোসাইন,
২, মোহাম্মাদ গিয়াস,
৩, দিলিপ কান্তি,
৪, তরিক খান,
৫, মোহাম্মাদ কালু,
৬, রতন কান্তি দাশ
৭, মোহাম্মাদ মিজান,
প্রবাস টাইম বুলেটিন দেখুনঃ
আরো পড়ুনঃ ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ওমানে ফিরতে পারবেন না প্রবাসীরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post