চীনের ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ নামের গবেষণা জাহাজটি অবশেষে মালদ্বীপের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই এটি মালেতে নোঙর করবে। এই ঘটনায় ভারতের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে উপহাসের জেরে সম্প্রতি দিল্লি-মালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চীনা জাহাজের গতিবিধি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে মালদ্বীপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীনের জাহাজটি গবেষণার জন্য আসছে না। বন্দর থেকে রসদ নিয়ে সেটি ফিরে যাবে। কিন্তু প্রথম থেকেই জাহাজটির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরে চীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে গবেষণার নামে ‘গুপ্তচর’ জাহাজ মোতায়েন করার অভিযোগ এনেছিল ভারত।
এর আগেও ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ বেশ কয়েকবার ভারত মহাসাগরে সফরে বেরিয়েছিল। ২০২১ সালে এটিকে ইন্দোনেশিয়ায় নোঙর করা হয়। চীন তাদের গবেষণা জাহাজ শ্রীলঙ্কার কাছেও ভিড়িয়েছিল।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, জাহাজটি শুধুমাত্র মালদ্বীপের জলসীমায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে সেটি শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের মধ্যে চলাচল করবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাবমেরিন অপারেশনগুলোকেও সক্রিয় করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেল জানুয়ারির শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরেই মালে-নয়াদিল্লির দ্বন্দ্ব তুঙ্গে ওঠে। মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন ‘চীনপন্থি’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত মোহামেদ মুইজ্জুর দলের একাধিক নেতা। এরমধ্যেই চীন সফরে যান মুইজ্জু।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই চীনা জাহাজ আসায় মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post