যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করলো অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। বুধবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।
এদিন সকাল ১০টায় মিনিস্টার ও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব এবং হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতে বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে অনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। পরে ভাষা আন্দোলনের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন। বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তাঁরা সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার চর্চায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান। হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সেই সময়কার তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
২১শে ফেব্রুয়ারিকে UNESCO কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এটি সম্ভব হয়েছে। এই স্বীকৃতি দেয়ার পিছনে দু’জন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশির অবদানের কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
কানাডার হাউজ অব কমন্স কর্তৃক গত মার্চ ২০২৩ এ ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘International Mother Language Day Act’ পাস করায় কানাডার জনগণ ও সরকারকে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
হাইকমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সবার শেষে ৫২ এর ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post