পারিবারিক অশান্তির ফলে পরিবারের প্রায় সবাইকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইরানি এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিজের পরিবারের ১২ জনকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন ওই যুবক। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের একটি প্রত্যন্ত এক গ্রামাঞ্চলে গায়ে কাঁটা দেয়া এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকটির পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। কেরমান প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম হামিদি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলাকারীর পরিবারের মধ্যে দিন কয়েক ধরে ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামেলাই শনিবার চরমে ওঠে। এরপরই সে এমন রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটনায়।
হঠাৎ করেই বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকেই পরিবারের লোকেদের ওপর হামলা চালান এই যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্দুক বার করে একের পর এক গুলি করেন তিনি। নিজের বাবা ও দাদাসহ পরিবারের মোট ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেন। পুলিশ বলেছে, ঘটনাস্থলেই সবাই মারা গেছেন।
স্থানীয় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জানা গেছে, যথস পুলিশ সেই গ্রামে যায় তখনও অভিযুক্তের হাতে ছিলো বন্দুক। পুলিশের দিকে তাক করে গুলিও চালান তিনি। পুলিশ বার বার তাকে ধরা দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু ধরা দিতে রাজি না হয়ে পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করেন।
সেই সময়ই পুলিশ তাকে নিরস্ত্র করতে পাল্টা গুলি চালালে ৩০ বছরের যুবকটি মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, রীতিমতো অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে অভিযুক্ত যুবক হামলা চালিয়েছিলেন পরিবারের উপর। ইরানে এই ধরনের গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কেরমানের সেই গ্রামবাসীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ইরানে এই ধরনের পারিবারিক বন্দুকবাজির ঘটনা খুব বিরল। সবশেষে ২০২২ সালে এক ব্যক্তি কাজ হারিয়ে অফিসের মধ্যেই পর পর গুলি চালিয়ে নিজে আত্মঘাতী হন। সেই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৬ সালে ২৬ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে গুলি করে ১০ জনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিলো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post