সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, যাত্রী হয়রানি ও লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা এখন অনেকটা কমে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি।
তিনি বলেন, এখনো পুরোপুরি বন্ধ না হলেও অনেকটা কমেছে। আমরা প্রায়ই বিমানবন্দরে গণশুনানি করেও যাত্রীদের কাছ থেকে ও কর্মরত সংস্থাগুলোর সদস্যদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনেছি, সমাধানও করেছি। তাদের পরামর্শ নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। কারণ তখন সবকিছু অটোমেশন ব্যবস্থায় হবে।
চেয়ারম্যান বলেন,
“স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু হলে, তখন আর ম্যানুয়েলি কিছুই হবে না। সব হবে অটোমেশন পদ্ধতিতে। অবশ্য এজন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল।”
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে হটলাইন চালু করা হয়েছে। এতে যাত্রীরা ২৪ ঘণ্টা মতামত বা অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন। যে ধরনের অভিযোগই আসুক না কেন, তা সমাধান করা হবে। গত জুলাই এ হটলাইন সেবা চালু হয়েছে। দিনে ও রাতে ২৪ ঘণ্টা এই হটলাইনে যাত্রীরা যে কোনো অভিযোগ ও বিমানবন্দরের সেবা নিয়ে মতামত জানাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভালো ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এবং বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে চলা যাত্রী হয়রানি বন্ধে এ কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি সংস্থার সদস্যদের জন্য এ কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৩২টি বিমান সংস্থার সদস্যদের পর্যায়ক্রমে এ কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, এপিবিএন, বিমান বন্দর স্বাস্থ্য, জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা, এভসেক, বাংলাদেশ বিমানসহ বিদেশি বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post