চট্টগ্রামের বিখ্যাত ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল থেকে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাঞ্চল্যকর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার মূল আসামি হলেন খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ৮৭ বছর বয়সী অধ্যাপক ডাক্তার রবিউল হোসাইন। এছাড়াও আরও তিনজনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সিইআইটিসি) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এম এ মালেক বাদী হয়ে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর খুলশী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম খান এবং কাজী মো. অহিদুল আলম নামে আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
নগরীর পাহাড়তলীতে বেসরকারি হাসপাতাল দুটির অবস্থান পাশাপাশি। সিইআইটিসির ম্যানেজিং ট্রাস্টি ডাক্তার রবিউল হোসাইন। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে সিইআইটিসিরও অংশীদারিত্ব আছে। এর ৫১ শতাংশ পরিচালক সিইআইটিসি মনোনয়ন দেয়। এ হিসেবে রবিউল হোসাইন ২০০১ সাল থেকে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে আছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় রবিউল হোসাইনসহ আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর সিইআইটিসি ট্রাস্টি বোর্ডের ৮৭ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ওয়াহিদ মালেক।
এর পরেই মূলত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। দেখা যায়, রবিউল হোসাইন অন্যান্য আসামিদের যোগসাজশে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লোকসান দেখান এবং ৪০০ কোটি টাকার ব্যাংক দায় সৃষ্টি করেন। এ ব্যাপারে তাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হলেও তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের এখতিয়ার পুলিশের আছে। সে হিসেবে ডাক্তার রবিউল হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে প্রায় সাড়ে আটশ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post