বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তালিকায় রয়েছে ১৬৮ দেশের নাম। যদিও হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমিত হয়ে আছে বিদেশের শ্রমবাজার। গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) বিদেশে পাঠানো মোট কর্মীর ৯৭ শতাংশ গেছেন মাত্র ১০টি দেশে।
গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) বিভিন্ন দেশে পাঠানো কর্মীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, পাঁচ বছরে অন্তত একজন কর্মী পাঠানো হয়েছে, এমন দেশ যুক্ত করলেও কর্মী পাঠানো হয়েছে মোট ১৩৭টি দেশে।
কর্মী পাঠানোর তথ্য সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। কাজ নিয়ে বৈধভাবে বিদেশে যেতে সব কর্মীকে এ সংস্থার কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। সংস্থাটির তথ্য বলছে, বিএমইটির তালিকায় থাকা দেশের মধ্যে ৩১টি দেশে কোনো কর্মী যায়নি গত পাঁচ বছরে। সর্বশেষ পাঁচ বছরের তথ্য বলছে, দেশ ছেড়ে কাজে যাওয়া প্রায় ৫৫ শতাংশ কর্মীর ঠিকানা হয়েছে সৌদি আরব।
গত দেড় দশকে ৯৭টি দেশ থেকে বাড়িয়ে ১৬৮টি দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এর মধ্যে অধিকাংশ দেশেই কর্মী যাচ্ছে হাতে গোনা। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, নতুন সম্ভাবনাময় বাজার ধরতে না পারলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে অভিবাসন খাত।
বছরে গড়ে ১০ হাজারের বেশি কর্মী পাঠানো গেছে মাত্র আটটি দেশে। ৯৫ শতাংশের বেশি কর্মী গেছেন এসব দেশে। এ দেশগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার, কুয়েত ও জর্ডান। এর মধ্যে ছয়টি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের। এর বাইরে ইতালি ও রোমানিয়ায় দুই বছর ধরে কর্মী যাওয়া বেড়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post