সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইতে বর্তমানে প্রায় ৭ লক্ষ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত আছেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই ইতালিতে বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন। তবে সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকায় ইতালিতে যাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। তবে প্রসেস ঠিক করে গেলে ইতালিতে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
যেভাবে মিলবে ভিসা
* প্রস্তাবনা করা: ইতালির ভিসা জন্য প্রথমে অনলাইনে ইতালি ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্ম ইতালির এম্বাসির ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।
*. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনের সময়ে আপনার পাসপোর্ট, দুবাইর রেসিডেন্স পারমিট, ছবিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি সাবমিট করতে হবে।
*. বৈধ কাজের বা আর্থিক সাধারণ তথ্য: দুবাইতে আপনার চাকরি বা ব্যবসা সম্পর্কে তথ্যগুলো দিতে হবে। বিজনেস ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা সেলারি স্টেটমেন্ট। আপনার যদি প্রতি মাসে মিনিমাম ১৫০০ ইউ এস ডলার বা তার সমপরিমাণ বেতন হয়ে থাকে তাহলে আপনার ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯৯.৯৯%।
*. প্রদর্শন অফ ফাইন্যাল বুকিং ইত্যাদি: আপনাকে ইতালির ভ্রমণের জন্য প্রদর্শন অফ ফাইন্যাল বুকিং, হোটেল রিসার্ভেশন, টিকেটের নথি ইত্যাদির প্রমাণ দেখাতে হতে পারে।
*. ভিসা ফি পরিশোধ: আবেদনের সময়ে ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদানের মাধ্যম এবং অগ্রগতির স্থিতি অনুযায়ী প্রাধিকারিক ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট হতে পারে।
*. ভিসা ইন্টারভিউ: কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে একটি ভিসা ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে। ইন্টারভিউ সময়ে আপনার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ এবং সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
*. ভিসা প্রাপ্তির সময় ও স্থান: ভিসা প্রাপ্তির সময় এবং স্থান সাধারণত একটি সূচিপত্রে উল্লেখিত থাকে, যা আপনার আবেদনের সাথে প্রেরিত হতে পারে।
উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি দুবাই থেকে ইতালির ভিসা অর্জন করতে পারেন। তবে, ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি পরিবর্তন হতে পারে, তাই আপনাকে ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আরও বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post