ওমানে করোনার প্রকোপ কমাতে হলে সকলের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন গ্রহণ করা দরকার বলে জানালেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ড. আব্দুল্লাহ। বৃহত্তর রোগ প্রতিরোধে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে মনে করেন তিনি। নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে করোনায় এক হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওমানের এক জাতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে দেশটির সংক্রামক রোগ ও ইমিউনোলজি কনসুলেট ও সংক্রমণ প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান ড. আব্দুল্লাহ এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দেশটিতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এখনি করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ এড়াতে এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত।”
করোনা থেকে বাঁচাতে ও এর বিস্তারকে প্রতিরোধ করার জন্য টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। যদি কোনো ব্যক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে ভুগছেন এবং একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে তার গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে। ডাঃ আবদুল্লাহ বলেন, “ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ঝুঁকি করোনাভাইরাস থেকে কম নয়, কারণ এই ভাইরাসেও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মৃত্যু হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সবাইকে এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রহণ করার পরামর্শ দিচ্ছি।”
আরো পড়ুনঃ মানব সেবার আড়ালে ওমানে কোটি টাকার জালিয়াতি
কবে টিকা গ্রহণ করবেন সে সম্পর্কে ডাঃ আবদুল্লাহ বলেন, “এটি অক্টোবরের শুরু বা নভেম্বরের শুরুতে নেওয়া উচিত। যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ রয়েছে, গর্ভবতী মহিলা, প্রবীণ, দুর্বল লোক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা সাধারণত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবেন। অন্যদের বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে ক্রয় করে নিতে হবে।” সর্বত্র ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন তৈরির পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে ডঃ আল কায়ুধি বলেছেন, “ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতি বছর ভ্যাকসিনের সংস্পর্শে আসার পরে তার জিনগত অনুক্রমকে পরিবর্তন করে দেয়। তাই রোগের বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও এই ভাইরাস কিছুটা পরিবর্তন হয়।”
তিনি আরো বলেন, “কেউ এটা মনে করবেন না, যে তিনি যদি গত বছর ভ্যাকসিনটি নিয়ে থাকেন তবে এ বছর তার দরকার নেই। ফ্লু থেকে সুরক্ষার জন্য এটি প্রতিবছর নেওয়া উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতি বছর ভ্যাকসিন গ্রহণ করি। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটি তার জিনগত ক্রমটি বছরে দুবার পরিবর্তন করতে পারে, তাই আপনার শরীরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ও করোনার তীব্রতা হ্রাস করার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন গ্রহণ করা খুব জরুরি।”
ওমানের সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে অনুরোধ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post