ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিশ্চিতকরণসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে “দিল্লি চলো” কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে ২০ হাজার কৃষক দিল্লিতে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে দুই শর বেশি কৃষক সংগঠন। আর আন্দোলন দমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি সরকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিক্ষোভ করবেন কৃষকরা। এর ফলে দিল্লিতে ১২ মার্চ পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওইদিন ১৪৪ ধারা জারি করা থাকবে।
এদিকে, হরিয়ানায় দুটি বড় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কারাগার বানিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত কৃষকদের এই দুটি কারাগারে রাখা হতে পারে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্যের ৭ জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। একসঙ্গে অনেক মেসেজ পাঠানো বা বাল্ক এসএমএস, সমস্ত ডঙ্গল সার্ভিস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কৈথাল, জিন্দ, হিসর, ফতেহাবাদ, সিরসাসহ বেশ কিছু জেলায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ভয়েস কলের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি সরকারি নির্দেশিকায়।
এছাড়া অম্বালাসহ একাধিক জায়গায় রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। মোতায়েন হয়েছে বাড়তি পুলিশ। দিল্লি-গাজিপুর সীমানায় ব্যারিকেড লাগিয়েছে পুলিশ। মিছিল আটকানোর প্রস্তুতি হিসেবে শনিবারই টিয়ার গ্যাস চালানোর অনুশীলন করেছে পুলিশ। উত্তর দিল্লির যমুনা খদর এলাকায় এই অনুশীলন চলে।
এদিকে সাধারণ মানুষকেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আপাতত পাঞ্জাবে যেতে বারণ করা হয়েছে। ফসলের জন্য ন্যূনতম মূল্যের নিশ্চয়তা, পেনশনসহ কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যাবতীয় মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচি ডেকেছেন কৃষকরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post