পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের পর তিন দিন চলমান, তবুও কোন দল সরকার গঠন করবে তার সুরাহা হয়নি। সরকারিভাবে ১০১টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পাকিস্তানের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১৩৪ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতাসহ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাছাড়া কোনো দলের পতাকা তলে না আসলে সংরক্ষিত আসন পাওয়া কিংবা পার্লামেন্টে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগও হারাবেন তারা। এ জন্য মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীন (এমডব্লিউএম) নামে একটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলেছে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দলটির মুখপাত্র রউফ হাসানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে জিও নিউজ।
রউফ জানিয়েছেন, তারা পাঞ্জাবে সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ায় (কেপি) সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতাও দলটির রয়েছে।
তিনি জানান, পিটিআইয়ের কাছ থেকে অন্তত ৬০টি আসন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল, এমনকি প্রয়োজনে আদালতে যাবে পিটিআই।
জানা গেছে, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন বেসরকারিভাবে ১০১টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের থেকে ৩৩টি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। দলটি পেয়েছে ৭৫টি আসন। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা তির প্রতীক নিয়ে ৫৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭ আসন। আর পিটিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা করা এমডব্লিউএম জিতেছে মাত্র ১টি আসনে।
শোনা যাচ্ছে, বিজয়ী ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এমডব্লিউএমের ছাতার নিচে জড়ো হয়ে সরকার গঠন করতে না পারলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post