দেশের স্বর্ণশিল্পের কলুষিত অতীতকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করার লক্ষ্যে সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দৃঢ় বিশ্বাস করেন, এই পদক্ষেপ সরকারের জন্যই লাভজনক হবে।
দেশের স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা যেখানে ৩৫ থেকে ৪০ টন, সেখানে ২০২২ সালে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে এসেছে ৫৪ টন। তাহলে বাকি স্বর্ণ যাচ্ছে কোথায়? এমন প্রশ্নের মধ্যেই বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) দাবি, দৈনিক ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশকে।
যখন এমন নানা প্রশ্নে বিদ্ধ দেশের স্বর্ণখাত, তখন আবার ৪ হাজার ৭৪০ টনের স্বর্ণ চাহিদার রফতানি বাজারে যেতে চায় মেইড ইন বাংলাদেশ। তাহলে করণীয় কী? রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত বাজুস ফেয়ারে আয়োজিত সেমিনারে স্বর্ণের কালো বাজারকে সাদা করার পরামর্শ আসে ব্যাংকসহ আর্থিকখাত থেকে।
স্বর্ণের বাজারকে শুদ্ধ করতে চায় সরকারও, কারণ এতে বাড়বে দেশের রাজস্ব আয়। তবে অভ্যন্তরীণ আর রফতানি বাজারের জন্য আলাদা নীতিমালা করার পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জুয়েলারি রফতানির খুব সম্ভাবনা রয়েছে। মূল যেটা সংস্কার করা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে আপনাদের স্টকটাকে হোয়াইট বা সাদা করা। এটাকে হোয়াইট করে দিলে সরকারই লাভবান হবে। হোয়াইট করার মানেটা হলো, ব্ল্যাক ইকোনোমি বা ইনফরমাল ইকোনোমিটাকে ফরমাল ইকোনোমির মধ্যে নিয়ে আসা। সঠিক নীতি করতে দেশে স্বর্ণের বাজারের তথ্য ঘাটতির সংকট দূর করারও তাগিদ আসে সেমিনার থেকে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post