৩২ বছর বয়সী এক ইরানি আশ্রয়প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার হাতে কুঠার ও ছুরি ছিল৷ পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি সুইজারল্যান্ডের ভো ক্যান্টনের এসার-সু-শভো শহরের একটি স্টেশনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমের এক ট্রেনে অবস্থানরত যাত্রীদের জিম্মির চেষ্টা চালায়। পরে জিম্মিকারীকে হত্যা করে যাত্রীদের মুক্ত করা হয়। জানা যায়, এ সময় ডজনখানেকেরও বেশি যাত্রীকে জিম্মির চেষ্টা চালায় ইরানি ওই ব্যক্তি। এ প্রসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের ভো ক্যান্টন পুলিশ জানিয়েছে তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
তবে জিম্মি ঘটনাটির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সংশ্লিষ্টতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে ফ্রান্স সীমান্তের কাছে অবস্থিত সুইজারল্যান্ডে ভো ক্যান্টন পুলিশের মুখপাত্র জ্যঁ-ক্রিস্টোফ সতুরেল জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শুক্রবার থেকে পুরো এলাকা জনসাধারণের প্রবেশের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। তবে জিম্মিদের সবাইকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে শুক্রবার পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয়৷
এ সময় প্রায় ৬০ জন পুলিশ সদস্য চার ঘন্টা ব্যাপী এই অভিযানে অংশ নেন বলে প্রসিকিউটর জেনারেল এরিক কালটেনরিডার স্থানীয় এক টিভিকে জানিয়েছেন৷
জানা যায়, ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় জিম্মিকারী ট্রেনের প্রকৌশলীকেও এ সময় তার সাথে ১৫ জনকে জিম্মির ব্যাপারে সহায়তার জন্য আহবান জানান।
এদিকে এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সুইজারল্যান্ডে জিম্মির ঘটনা বিরল৷ তবে অতীতে ব্যাংক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কিছু জিম্মির ঘটনা ঘটেছে৷
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে একটি ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জিম্মি করে ভল্ট খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ ওই ভল্টে মূল্যবান ধাতু ছিল৷
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post