দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে যা কমেনি বা বাড়েনি। এতে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কার্যদিবস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এর মানে এ সপ্তাহের মধ্যে রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে।
এ ছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে এখনো ডলার সংকট বিদ্যমান। ফলে মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল শোধ করা হচ্ছে। ছোট আমদানি ব্যয় মেটানো হচ্ছে। সেই তুলনায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম রয়েছে। ফলে রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে কমছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই গতি শ্লথ আছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post