মালদ্বীপের সাথে ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে উপহাস করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই সংকট ভারতীয়দের মধ্যে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছে। চীন তো আগে থেকেই ছিল, আর এবার মালদ্বীপের পাশে দাঁড়াল যুক্তরাষ্ট্রও। মালদ্বীপকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’ বলেও আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ মালদ্বীপ’- ভারতের প্রতিবেশীকে এবার এভাবেই ব্যাখ্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তারা জানিয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে মুক্ত, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখতে মালদ্বীপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় করতেও বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ায় দায়িত্বে থাকা মার্কিন সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু মালদ্বীপ সফরে যান। গত নভেম্বরেই মালদ্বীপে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে। নতুন শাসকের সঙ্গে কথাবার্তা, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলেন লু। প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।
তার গত ২৯-৩০ জানুয়ারির মালদ্বীপ সফর প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মুখপাত্র বলেন,
মালদ্বীপের সঙ্গে সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মালদ্বীপ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু বরাবরই চিনপন্থি হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই তিনি চীন সফর করেছেন। এরপর চীন থেকে মালদ্বীপকে দেয়া ঋণের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ভারতের সঙ্গে এই দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে আইএমএফ। তারা মালদ্বীপকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ঋণের দায়ে ফেঁসে যেতে পারে মুইজ্জু সরকার। ঋণ নেয়ার নিরিখে তারা ‘বড় ঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post