মানুষের জীবনের কিছু কিছু ঘটনা হার মানায় সিনেমার গল্পকেও। সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের চেন্নাইয়ে। সেখানে স্বামীর বিরুদ্ধে তাদের নিজেদের মেয়েকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন এক নারী।
ছয় বছর ধরে শুনানি চলার পর আদালতে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর ওই নারীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ছয় হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন বাবার নিরন্তর নিগ্রহের কারণেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছে নাবালিকা। অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে মেয়ের প্রস্রাব পরীক্ষার রিপোর্ট এবং আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছিলেন তিনি।
আদালতে শুনানিতে দেখা যায়— যে গবেষণাগার থেকে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তিনি, এক সময় তিনি নিজেই সেখানে ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন। তারই সুযোগ নিয়ে জাল রিপোর্ট তৈরি করেন । এমনকি, চিকিৎসকদের মিথ্যা বয়ান দিতেও বাধ্য করেন।
এরপর তার মেয়ের বয়ান রেকর্ড করে আদালত। তাতেই প্রমাণ হয়, ওই নারীর আনা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা। আরও জানা যায়, সেই সময় পারিবারিক আদালতে স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি এমন কাজ করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post