নিজের বন্ধুর হাতে ‘ধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন এক তরুণী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও কছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং থেকে রাজধানীতে গিয়ে বসবাস করা এক তরুণীকে টানা ৭ দিন ধরে ধর্ষণ এবং নানা ধরনের নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে এসেছে সম্প্রতি।
এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা সম্পর্কে মিডিয়ার সামনে প্রথমবার মুখ খোলে দিল্লি পুলিশ।
দার্জিলিংয়ের ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, পরস নামের সেই যুবক তার সঙ্গে অকথ্য আচরণ করেছে। তার গায়ে গরম ডাল ঢেলে দিত পরস। বারবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি ‘অপ্রকৃতস্থ যৌনতাতেও’ পরস তাকে বাধ্য করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাই এলাকার রাজু পার্কে একটি ভাড়া বাড়িতে প্রায় এক মাস ধরে পরসের সঙ্গে থাকছিলেন।
পুলিশের মতে, ঘটনাটি গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে। সেদিন নেব সরাই থানা একটি পিসিআর কল পায়। সেই ফোনে পুলিশকে জানানো হয় যে এক তরুণীকে তার স্বামী মারধর করছে। এই খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
সেই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই সময় তার শরীরে প্রায় ২০টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। অবশ্য এখন তিনি সুস্থ আছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল থেকে তাকে সম্প্রতি ছাড়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই তরুণীর থেকে তারা জানতে পারেন যে তিনি দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। ফোনে পরসের সঙ্গে তার আলাপ। এরপর তিন-চার মাসের বন্ধুত্ব। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কাজে যোগ দিতে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল তরুণীর।
তবে সে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার আগে দিল্লিতে এসে পরসের সঙ্গে দেখা করতে চান। তখন পরস তাকে দিল্লিতেই থেকে যেতে বলে এবং কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ক্রমেই সবকিছু বদলে যায়। পরস সেই তরুণীকে মারধর করতে শুরু করে। এরপর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় তাকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post