করোনা পরবর্তী বাংলাদেশি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও সোশ্যাল সিকিউরিটির টাকা আদায় করেছে জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির আছিল গার্মেন্টে কর্মরত ৪৫৪ বাংলাদেশি শ্রমিক বকেয়া বেতন ও সোশ্যাল সিকিউরিটির টাকা বুঝে পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মানের প্রথম সচিব উম্মে সালমার উপস্থিতিতে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় তাদের হাতে অর্থ তুলে দেয়।
উম্মে সালমা জানান, শ্রমিকদের বিমান টিকিট জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কয়েক ধাপে আলোচনায় বসে দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। এরই ধারাবাহিকতায় সুখবর পাওয়া গেলো।
তিনি বলেন, প্রতি মাসেই একাধিকবার আছিল গার্মেন্ট পরিদর্শন ও নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছে দূতাবাস। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। অবশেষে সফল হয়েছেন। জর্ডান শ্রম মন্ত্রণালয়, আইএলও, ট্রেড ইউনিয়নসহ যেসব সংস্থা ও কোম্পানি এই সমস্যা সমাধানে দূতাবাসকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মোতাহার নামে আছিল গার্মেন্টের একজন মেশিন অপারেটর জানান, ছয় মাসের বকেয়া বেতনসহ তিনি পাঁচ বছরের লিভের টাকা পেয়েছেন। তাদের সব দাবি দাওয়া পূরণ হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান তারা। এর আগে করোনা পরবর্তী আছিল গার্মেন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আছিল গার্মেন্টে কর্মরত শ্রমিকরা নানা ধরনের অভিযোগ ও অনিয়ম সম্পর্কে দূতাবাসকে অবহিত করে। দূতাবাস গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ, জর্ডান শ্রম মন্ত্রণালয় ও ট্রেড ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post