বিমান যাত্রা আরামদায়ক করার জন্যই উপস্থিত থাকেন বিমানসেবিকারা। সিটে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে চা-পানীয় বা খাবার পৌঁছে দেওয়া, যাবতীয় দায়িত্ব তাদের উপরই থাকে। বিনিময়ে যাত্রীরা এই বিমান সেবক বা সেবিকাদের জন্য কী রেখে যান জানেন?
কখনও ব্যবহৃত কন্ডোম, তো কখনও অন্তর্বাস! এমনকী ব্যবহৃত ট্যাম্পনও নিজের হাত দিয়ে যাত্রীদের সিট থেকে তুলতে হয়। সম্প্রতিই এক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাঁর কর্মজীবনে দেখা যাত্রীদের ফেলে যাওয়া অদ্ভুত সমস্ত জিনিসেরই বর্ণনা দিয়েছেন। তাঁর ওই পোস্ট দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ‘এরা মানুষ তো?’
আমেরিকার একটি বড় ও নামকরা উড়ানসংস্থায় বিগত ২৫ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে তিনি বিমানে কী কী অদ্ভুত জিনিস দেখেছেন, তারই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন একটি অনলাইন মাধ্যমে। একজন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, এমন কী জিনিস দেখেছেন, যা দেখলে গা গুলিয়ে উঠেছিল? জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, ব্যবহৃত কন্ডোম পেয়েছিলেন বিমান থেকে। এছাড়া নোংরা হয়ে যাওয়া অন্তর্বাস ও ব্যবহৃত ট্যাম্পন অবধি বিমানে পড়ে থাকতে দেখেছেন।
বিমানের অদ্ভুত ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এমন একজন কাউকে হাতেনাতে ধরতেন, যিনি বিমানের শৌচালয়ে ঢুকে ধূমপান করার চেষ্টা করছিলেন। আরও সমস্যা তৈরি করেন মত্ত যাত্রীরা। তবে ছয় মাসে হয়তো একবার এমন যাত্রীকে সামলাতে হয়।
কোন শহরে বিমান যাচ্ছে, তার উপরও নির্ভর করে যাত্রী কেমন হবে। এর বর্ণনা করে ওই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জানান, যদি বিমান লাস ভেগাস থেকে আসে, তাহলে সেই বিমানে একাধিক এমন যাত্রী থাকেন, যারা নেশায় মত্ত থাকেন। চারিদিকের কোনও হুঁশই থাকে না। তবে সবথেকে খারাপ অভিজ্ঞতা হিসাবে যাত্রীদের আসনে বসেই মল-মূত্রত্যাগের কথা বলেছেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post