মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়েছে। এতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। এসব গোলাবারুদ আর বিস্ফোরকের বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকা এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
কখনো গুলির খোসা আবার কখনো মর্টার শেলের খোসা এসে পড়ছে শূন্যরেখার ওপর। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাড়ি, ভাজাবনিয়া সীমান্ত পয়েন্টে এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরই মধ্যে দুটি বাড়ি থেকে লোকজন পালিয়ে গেছে এবং একটি বসতবাড়ির ওপর মর্টার শেলের অংশ পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজেদের চাষাবাদের জমিতে যেতে পারছেন না অনেক কৃষক। আবার উৎপাদিত ফসল জমি থেকে তুলতে না পারায় ক্ষেতেই চাষাবাদ করা বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমারে এখনো প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি আমরা। এবার গোলাগুলির শব্দের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও আর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post