অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারক এ রায় দেন। দুর্নীতি, অর্থপাচার, মাদক মামলাসহ সারা দেশে সাহেদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
প্রতারক সাহেদ করিম, করোনা চিকিৎসার নামে হাজারো মানুষকে প্রতারিত করে, ভুয়া কোভিড সার্টিফিকেট বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা। দেশ থেকে পালানোর সময় চলতি বছরের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর কড়া প্রহরায় হেলিকপ্টারে করে রাজধানীতে নিয়ে আসা হয় তাকে। ১৯ জুলাই সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরার বাসার অভিযান চালালে সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল, গুলি।
গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র মামলায় ৩০ জুলাই আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। আর ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত। গত ২০ সেপ্টেম্বর মাত্র ৮ কার্যদিবসে মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
এদিকে দেশের প্রতারক সাহেদ গংদের গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা হলেও বিদেশের সাহেদ গংরা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সম্প্রতি ওমান থেকে ভুয়া করোনা সনদ দিয়ে দেশে লোক পাঠানোর মতো ঘটনা ঘটছে।
সেইসাথে ওমান থেকে বিমানের টিকিট কালোবাজারি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ আসছে সোশ্যাল ক্লাবের মোজাম্মেল নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট কালো বাজারি করে রাতারাতি হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা এমন অভিযোগ ও রয়েছে এই মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে প্রবাসীদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পুনরায় ওমান যেতে নির্দেশিকা জারী করলো বিমান
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওমানে জোড়া খুনের ঘটনার পর আরো বেশি আতংক বিরাজ করছে ওমানের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে। এইসব অপরাধীদের জন্য বিদেশের মাটিতে যেমনিভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে নেতিবাচক প্রভাব পরছে শ্রম বাজারে। এইসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনতে পারলে ভবিষ্যতে কঠিন হুমকির মুখে পরবে ওমানের গোটা শ্রম বাজার এমনটাই মনে করছেন দেশটিতে বসবাসরত বিশিষ্ট প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post