অতিরিক্ত বিদেশি শিক্ষার্থীদের চাপে কানাডার অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে এখনি নতুন করে আর কোন শিক্ষার্থী সে দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। ২০২৪ সালে আর নতুন কোন বিদেশি শিক্ষার্থীকে তাদের দেশে আসার অনুমোদন দিচ্ছে না। এমনকি স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীদের আর ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে না। কানাডায় বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করছে।
গত ২০২৩ সালের চেয়ে এবছরও ৩৫ শতাংশ বেশি শিক্ষার্থী কানাডায় আসার অনুমোদন পেয়েছে যার সংখ্যা কানাডার অভিবাসান মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুসারে ৩ লাখ ৬০ হাজার। তবে এই বিধি নিষেধ স্থায়ী নয়, আগামী দুই বছর পর্যন্ত যারি থাকবে এই বিধি বলে জানিয়েছেন অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ ও বসবাসের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী কানাডায় যান।
প্রতি বছর গড়ে ১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার যোগ হয় দেশটির অর্থনীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। ফলে কানাডা সবসময় বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। সেই সঙ্গে যে-সব শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে কানাডায় স্থায়ী হতে চান, তাদের প্রতিও উদারতা প্রদর্শন করে দেশটি।
সরকারের এই নীতির কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমনের জেরে দেশটিতে আবাসন সংকট শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে কানাডার কিছু সাইনবোর্ড সর্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড না থাকা সত্ত্বেও তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক মিলার বলেন, কিছু সাইনবোর্ড প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তাদের অতিরিক্ত ফি নিয়ে ভর্তি করাচ্ছে। অবিলম্বে এ চক্র বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post