করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন জেএন পয়েন্ট ওয়ান দেশে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। এদিকে তীব্র শীতের কারণেও অনেকে গলা ব্যথায় ভুগছেন। ফলে গলা ব্যথার সমস্যা এখন সবারই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঋতু পরিবর্তনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শীত আমাদের ছুঁয়ে দিতে আসে বার বার। কিন্তু শীতের এই ছোঁয়া যেন অনেকেই আমরা নিতে পারি না। তাই জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা সহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ শীতে বেড়ে যায়। দেশে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন উপধরন জেএন পয়েন্ট ওয়ানের ক্ষেত্রেও উপসর্গ গলা ব্যথা হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদেরও।
শীতের কারণেই হোক বা জেএন পয়েন্ট ওয়ানের উপসর্গই হোক গলা ব্যথায় আক্রান্ত হলে সেই সময়টা কীভাবে কাটে তা শুধু ভুক্তভোগীরাই ভালো জানে। অসহ্য যন্ত্রণায় এই সময় কথা বলতেও খুব কষ্ট অনুভব করেন আক্রান্ত রোগীরা।
গলার এই ব্যথাকে জয় করতে তাই আজ আপনাদের জানাবো বিশেষ একটি খাবারের কথা। এতে আপনি হয়তো সাথে সাথেই শতভাগ ফলাফল পাবেন না। কিন্তু আপনি পাবেন সাময়িক ভালো লাগার অনুভূতি। আর দীর্ঘমেয়াদে গলা ব্যথাকে বিদায় জানানোর চাবি। তো আসুন জেনে নিই বিশেষ সেই খাবারের নাম।
আমরা সবাই জানি গলা ব্যথায় আদা, মধু, কাঁচা হলুদ, তুলসি, লেবু, কমলা, আমলকি, জষ্ঠিমধু কিংবা বিভিন্ন ধরনের কাশি বা গলা ব্যথার সিরাপ দারুণ কার্যকর। কিন্তু কখনও কি আপনি শুনেছেন গলা ব্যথায় ডার্ক চকলেটের কথা! চকলেট গলা ব্যথার জন্য একটি কার্যকরী এবং সুস্বাদু প্রতিকার হতে পারে বলছে গবেষণা।
হাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার এবং রেসপিরেটরি স্টাডিজের প্রধান অধ্যাপক অ্যালিন মরিস চকোলেটের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। একজন স্বাধীন চিকিত্সক হিসাবে তিনি গলা ব্যথা আর কাশির প্রক্রিয়াটি নিয়ে গবেষণা করছেন বছরের পর বছর। তিনি বলেছেন, অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে তবে এটি সম্পূর্ণ শক্ত একটি সত্য।
গলা ব্যথা ও কাশির প্রতিকারের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় গবেষণা দেখায়, কোকো অন্তর্ভুক্ত নতুন ওষুধগুলো স্ট্যান্ডার্ড গলা ব্যথা আর কাশির সিরাপগুলোর চেয়ে ভালো কাজ করে। যে রোগীরা চকলেটভিত্তিক ওষুধ গ্রহণ করেছেন তারা দুই দিনের মধ্যেই তাদের উন্নতি লক্ষ্য করেছেন।
প্রফেসর মরিসের মতে, চকলেট স্ট্যান্ডার্ড কাশি ও গলা ব্যথার সিরাপগুলোর চেয়ে আঠালো হয়। ফলে এটি আমাদের গলায় এক ধরনের আবরণ তৈরি করে যা সেখানে অবস্থিত স্নায়ু প্রান্তগুলোকে রক্ষা করে। প্রফেসর মরিস বিশ্বাস করেন যে চকলেটের নার্ভের শেষের উপর একধরনের বাধামূলক প্রভাব রয়েছে। এই কারণেই কোকো মধুর চেয়েও ভালো কাজ করবে।
এইজন্য চকোলেটের একটি টুকরো ধীরে ধীরে চুষে নিন। প্রথমদিকে এটি আপনাকে স্বস্তি দেবে। পরবর্তীতে চকলেটের যৌগগুলো অন্যান্য উপাদানগুলোর সাথে কাজ করতে শুরু করবে যা এটিকে আরও কার্যকর করে তুলবে। তবে গরম কোকো বা চকলেট পান করা এক্ষেত্রে ততটা কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন প্রফেসর মরিস।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post