ঠিক যেন হিন্দি ছবির কোনো দৃশ্য। এক নারী স্কুটি নিয়ে এলেন। এরপর পুলিশের গাড়িতে থাকা খুনের মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে ছিনিয়ে নিয়ে পালালেন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মথুরায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিচারাধীন ওই আসামির নাম অনিল। তিনি হরিয়ানার পলওয়াল জেলার হোদালের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ দুই রাজ্যেই আটটি মামলা চলছে। মথুরা জেলে বন্দি ছিলেন অনিল। তার বিরুদ্ধে খুনের একটি মামলার শুনানি ছিল আজ বৃহস্পতিবার।
মথুরা জেল থেকে অনিলকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) এবং দুই কনস্টেবল। হোদালের একটি আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। আদালতে শুনানি শেষে অনিলকে নিয়ে আবার প্রিজনভ্যানে করে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ডাবচিকের কাছে যখন প্রিজনভ্যানটি পৌঁছায়, আচমকাই স্কুটি নিয়ে অনিলের স্ত্রী আসেন। প্রিজনভ্যানের সামনে গাড়ি দাঁড় করান। তারপর স্বামীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে স্কুটিতে চেপে পালিয়ে যান।
এদিকে, এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় মথুরায়। কীভাবে এই ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, তিনজন পুলিশ সদস্য থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বন্দিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন একজন নারী। পুলিশক সদস্যরা কি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি? তাহলে কি পুলিশক সদস্যদের সঙ্গেই কোনো যোগসাজশ ছিল? প্রশ্ন উঠছে যে, ওই সময়ে ওই রাস্তা ধরেই যে প্রিজনভ্যানটি আসছে, সেটি কীভাবে খবর পেলেন অনিলের স্ত্রী? শুধু অনিলের স্ত্রীই ছিলেন, না কি আরো কেউ তাকে সহযোগিতা করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে বন্দির নিরাপত্তায় থাকা তিন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অনিল এবং তার স্ত্রীর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post