হিন্দিতে একটা প্রবাদ রয়েছে, ‘এক বিহারি, সাবপে ভারি’। যার অর্থ সবাইকে কাবু করতে একজন বিহারে বাসকারী লোকই যথেষ্ট। ভারতের বিহারে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেছে।
প্রায়ই চলন্ত গাড়ি, ট্রেন বা রিক্সায় চুরির ঘটনা দেখা যায়। যাত্রীর বেখেয়ালে হাত থেকে পার্স, টাকা-পয়সা, গয়না সহ অনেক কিছু টান দিয়ে সুকৌশলে চুরি করা হয়। সবচেয়ে বেশি চুরি হয় মোবাইল ফোন। কিন্তু কথায় বলে- চোরের দশদিন, গেরস্তের একদিন। সেই একদিনেই মালিকের থেকে কঠিন পাঠ শিখলেন এক চোর বাবাজি।
সম্প্রতি একটি লোক চলন্ত ট্রেন থেকে চুরির চেষ্টা করে। কিন্তু বগির ভিতরে বসা যাত্রী বেশ সতর্ক ছিলেন। জানালা দিয়ে হাত বাড়াতেই খপ করে হাত ধরে ফেলেন। সেই অবস্থাতেই জানালার পাশে ঝুলেছিলেন সেই ব্যক্তি। এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওর মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চোর ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চুরি তো করতেই পারেনি, বরং পালাতেও ব্যর্থ হয়। যাত্রীদের মার খেতে খেতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝুলছে সে। এভাবেই তাকে প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, অন্য যাত্রীরা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
ভিডিওর ক্যাপশন ছিল, ‘বিহারের ভাগলপুরের কাছাকাছি কালেশ। একজন ছিনতাইকারী চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীর ফোন ছিনিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু সে তাতে সফল হতে পারেনি। যাত্রী ছিনতাইকারীকে ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল।’ ভিডিওটি এক্স(টুইটার)-এ প্রকাশ করা হয়েছিল।
২০২২ সালেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। বিহারের একজন চোর সাহেবপুর কামাল স্টেশনে ট্রেন থামানোর সময়, জানালা দিয়ে একজন যাত্রীর ফোন ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ট্রেনের লোকজন তার হাত ধরে রাখে। প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ সে ওইভাবেই ছিল। অবশেষে যখন ট্রেনটি খাগরিয়ার কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চোর তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post