বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠানোর সময় প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১০ টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু একই ডলার কিনতে গেলে তাদের গুনতে হচ্ছে ১২৫ টাকারও বেশি। ডলারের দামের এই তারতম্যে হতাশ প্রবাসীরা।
প্রবাসীরা বলছেন, বিনিময় হারের এই পার্থক্য না কমানো গেলে, বৈধপথে অর্থ প্রেরণে প্রবাসীদের আগ্রহ বাড়বে না। আর তাই, দ্রুত ডলারের দাম সমন্বয়ের দাবি তাদের। সেই সাথে এ পদ্ধতিকে ‘ফাঁকি’ বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কারণে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের রিজার্ভ। অবশ্য অনেক প্রবাসী বৈধপথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বেছে নিচ্ছেন হুন্ডিকে। তাদের অভিযোগ, খোলা বাজারের সাথে ব্যাপক তারতম্যের কারণেই বেশিরভাগ প্রবাসী অবৈধপথে অর্থ পাঠানোকেই বেছে নিচ্ছেন। যে ডলার বিভিন্ন চ্যানেলে দেশে পাঠালে প্রবাসীরা পান ১১০ টাকা, তা কিনতে গেলেই গুনতে হয় কমপক্ষে ১২৫ টাকা। আর তাই বেশি অর্থ পাওয়ার আশায় হুন্ডিই পছন্দ তাদের।
এ বিষয়ে এক প্রবাসী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টর ও খোলাবাজারে ডলারের রেট যেরকম, তার থেকে প্রতি ডলারে ১০ টাকা কম দেয়া হয় প্রবাসীদের। এতে করে প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, ডলারের রেট বাংলাদেশের সর্বসাধারণ এবং প্রবাসীদের একই হারে দিলে দেশের রেমিট্যান্স আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, এ প্রক্রিয়াকে ফাঁকি আখ্যা দিয়ে অপর এক তরুণ প্রবাসী জানান, দেশে যেখানে প্রতি ডলার ১২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, সেখানে সরকার কীভাবে ব্যাংকগুলোকে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এটা এক ধরনের ফাঁকি। প্রবাসীরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের কাছে জোর দাবি, খুব দ্রুতই সরকার যাতে বেসরকারি সংস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডলারের দাম পুনঃনির্ধারণ করে দেয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post