হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা মানুষের সঙ্গে ভয়েস কল, ভিডিও কল বা এসএমএসর মাধ্যমে সহজেই যোগাযোগ করা সম্ভব। জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটিতে রয়েছে অসংখ্য ফিচার এবং সুবিধা, যা সত্যিই দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে লাগে। কিন্তু জরুরি এই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আচমকা হ্যাক হয়ে গেলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে! এক্ষেত্রে কী করবেন?
অসতর্কতা কারণে অনেক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী নিরাপত্তার সমস্যায় পড়েন। হ্যাকারদের কবলে পড়ে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এসব থেকে রক্ষা পেতে হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটা কিছু পরামর্শও দিয়েছে।
তাই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে এবং নানান ধরনের বিপদ থেকে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করুন। অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের অফিসিয়াল অ্যাপের পরিবর্তে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। মেটা বলছে, এই ধরণের থার্ড পার্টি অ্যাপগুলোর মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত ডাটা ফাঁস হয়ে যেতে পারে! এতে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই শুধু মেটার বিশ্বস্ত এবং অফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষায় চালু করুন টু-ফ্যাক্টর ভ্যারিফিকেশন অপশনটি।
এ ছাড়া নতুন কোনো ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে কল এবং এসএমএসে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি ৬ সংখ্যার যাচাইকরণ কোড পাবেন। অন্য কেউ এই কোডটি জানতে পারলে সেই ব্যক্তি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে পারবেন। আরও মাথায় রাখতে হবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অন্য ডিভাইসে খোলা নেই তা নিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু তারপরও ভুলবশত কোনো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে অ্যাকাউন্টটিকে দ্রুত ডি-রেজিস্টার করে নিন। এটি করার সঙ্গে সঙ্গে মেটা সব ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট লগআউট করে দেবে। এতে করে হ্যাকাররা আপনার পুরনো চ্যাটে অ্যাক্সেস করতে পারবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post