ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে ওমানে গিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ রাজিব হোসেন। কিন্তু গাড়ি চাপায় নিহত হয়ে অধরা স্বপ্ন নিয়ে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন দেশে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের চর বালুয়া গ্রামের জনতা বাজার জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয় রাজিবের মরদেহ। এ সময় একনজর দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনেরা।
নিহত মোহাম্মদ রাজিব হোসেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের চর বালুয়া গ্রামের জনতা বাজার এলাকার নূর নবীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে দুই বছর আগে ওমানে পাড়ি জমান রাজিব। গত ২৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে কাজে যাওয়ার পথে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমানের মাস্কাট শহরে গাড়িটি উল্টে গেলে গাড়ি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে তার মরদেহ নিজ গ্রামে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক নজর মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।
জানাজায় অংশ নেওয়া রাজিবের বড় চাচা নুর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই বছর আগে ওমানে যান রাজিব। সেখানে যাওয়ার পর এলাকার আরও লোকজনের সঙ্গে সমুদ্রে মাছ ধরার কাজ করতেন রাজিব। গত ২৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মাইক্রোবাসযোগে কয়েকজনের সঙ্গে মাছ শিকারের জন্য যাচ্ছিলেন। পথে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে উল্টে যায়। এতে গাড়ি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাজিব।
নিহতের বাবা নূর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার ছেলে ছিল এক কোমল হৃদয়ের মানুষ। সে দুনিয়া থেকে চলে গিয়ে আমাদের অসহায় করে গেছে। সংসারের দায়িত্ব নিতে সে বিদেশে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে সেখানেও সুখী হতে পারেনি। আমি আমার ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post