আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজা ইস্যুতে করা গণহত্যার মামলায় সমর্থন প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ, নামিবিয়া ও পাকিস্তান। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় তিনটি দেশই মামলার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে। নামিবিয়ার রাষ্ট্রদূত নেভিল গের্টজে জাতিসঙ্ঘে বলেছেন যে- তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাকে ‘স্বাগত জানায় ও সমর্থন করে’।
তিনি আরো বলেন,
‘নামিবিয়া গণহত্যা ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া যুক্তিগুলোকে সঠিক বলে মনে করে এবং এটি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
অন্যান্য দেশ যারা ইতিমধ্যে এই মামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- বলিভিয়া, জর্ডান, মালয়েশিয়া ও তুরস্ক। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার এই মামলার অস্থায়ী ব্যবস্থা বিবেচনা করার জন্য শুনানি করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিজে’র কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে ইসরাইল। গাজার ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট জাতীয় ও জাতিগত উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করছে ইসরাইল।
আইসিজে গত ৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেছে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে দুই দিন ধরে শুনানি কার্যক্রম চলবে। ১১ তারিখ আদালতে নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরদিন ১২ জানুয়ারি এর বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরবে ইসরাইল। গত ২৯ ডিসেম্বর ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলাটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত এই আদালত দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটাতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। আইসিজের দেয়া সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে তা মানার জন্য কোনো দেশের ওপর খুব কম শক্তিই খাটাতে পারেন এই আদালত।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সাথে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে গাজায় মোট ৫৯ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post