আলাস্কা এয়ারলাইনসের আলোচিত বোয়িং ম্যাক্স-৯ ফ্লাইটের নিখোঁজ অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। খবর সিএনএন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা উড়োজাহাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশের খোঁজ পেয়েছেন। মাঝ আকাশে ফ্লাইটের দরজা উড়ে যাওয়ার সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নমুনা।
এর আগে ক্যারিয়ার ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস জানায়, তাদের পরিষেবায় থাকা বোয়িং ম্যাক্স-৯ এস যানগুলোর হার্ডওয়্যার আলগা হয়ে গেছে।
আলাস্কা এয়ারলাইনসের দুর্ঘটনার পর থেকে কিছু বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৯ এস হ্যাঙ্গারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার ইউনাইটেড এয়ারলাইনস নিশ্চিত করেছে যে ৭৩৭ ম্যাক্স-৯ উড়োজাহাজে আলগা বোল্ট পাওয়া গেছে।
ইউনাইটেডের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা গত শনিবার উড়োজাহাজ পরিদর্শন শুরু করি। দরজায় প্লাগ ইনস্টলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু সমস্যা পেয়েছি। মনে হচ্ছে, বোল্টগুলো আরো শক্ত করার প্রয়োজন ছিল।
এরপরই দুর্ঘটনায় আক্রান্ত আলাস্কা এয়ারলাইনস জানায়, তাদের প্রযুক্তিবিদরা বহরে থাকা উড়োজাহাজ পরিদর্শন করেছেন। তারা কিছু যানে হার্ডওয়্যার আলগা পেয়েছেন।
তবে আলাস্কা এয়ারলাইনসের বহরের আনুষ্ঠানিক পরিদর্শন প্রক্রিয়া এখনো শুরু করেনি। কারণ তারা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে চূড়ান্ত ডাকের অপেক্ষা করছে।
এদিকে গতকাল পোর্টল্যান্ডের একজন স্কুলশিক্ষক জানান, বাড়ির উঠোনে রেফ্রিজারেটর-আকারের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৯ ফিউজলেজ ডোর প্লাগ খুঁজে পেয়েছেন। পরে তা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
শিক্ষক বব সাউয়ার সাংবাদিকদের জানান, উড়োজাহাজের অংশটি একটি গাছে আটকে ছিল। সেখানে দরজার প্লাগটি অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আলাস্কা এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্টারিও শহরের উদ্দেশে যাত্রা করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই মাঝ আকাশে দরজা খুলে পড়ায় জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হলেন বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৯ উড়োজাহাজটির পাইলট। এর পরপরই বসিয়ে রাখা হয় ১৭১টি বোয়িং।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post