২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম সেরা পর্যটন গন্তব্য হতে কাজ করছে সৌদি আরব। এজন্য দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দেশটি। আর এই কর্মযজ্ঞে সৌদি আরব খরচ করছে শত শত কোটি মার্কিন ডলার।
সৌদি আরবের এই পরিকল্পনা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী। ফলে এখন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বিষয়। আর সে কারণে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব স্বীকার করেছে, বেশ কিছু প্রকল্প নির্দিষ্ট সময় ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করা যাবে না।
অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান বলেছেন, ‘কারখানা গড়ে তোলা ও প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ তৈরি করতে আরও বেশি সময়ের দরকার।’ তার এই বক্তব্য থেকে অনুমান করা যাচ্ছে সামনের দিনগুলোতে প্রবাসী কর্মীদের চাহিদা এখনকার চেয়ে কয়েকগুণ বাড়বে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘ভিশন ২০৩০’ নামে পরিচিত। এর লক্ষ্য হলো, তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা। সৌদি আরবের অর্থনীতি জ্বালানি তেলের ওপর বড় রকম নির্ভরশীল। যুবরাজ দেশটিতে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আনতে চান।
নতুন যেসব প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে এপিকন, বিনোদনকেন্দ্র উতামো, নিওম লেজা, এবং ছয়কোনাবিশিষ্ট একটি বিলাসবহুল হোটেল। নিওম সিটি নামে যে শহর দেশটিতে গড়ে তোলা হচ্ছে, তার জন্য খরচ করা হচ্ছে ৫০ হাজার কোটি ডলার। ধীরে ধীরে এই শহর তার রূপ পাচ্ছে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এরই মধ্যে বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে তাঁর দেশে কী ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। তিনি পৃথিবীর অন্যতম বড় রাষ্ট্রীয় তহবিল নিয়ন্ত্রণ করেন, যার আকার ৭৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post