মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার তুরস্কে পৌঁছেছেন। শনিবার তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এতে চলমান গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনা শেষে আজই গ্রিসের উদ্দেশে রওনা দিবেন ব্লিঙ্কেন।
শনিবার এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন গ্রিক দ্বীপ ক্রিট সফরে যাবেন। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিসের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা আছে। তুরস্কের কাছে মার্কিন যুদ্ধবিমান বিক্রিতে গ্রিসের উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।
ইসরায়েল, পশ্চিম তীরসহ কয়েকটি আরব দেশ সফর করার কথা রয়েয়ে ব্লিঙ্কেনের। তিন মাস আগে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে সংকটকালীন চতুর্থ সফর ব্লিঙ্কেনের। গাজা যুদ্ধ আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে এ সফর শুরু করেছেন তিনি।
৭ অক্টোবরের হামলার পূর্বে হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের ঘাঁটি ছিল ইস্তাম্বুল। তবে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনাটি উদ্যাপনের ভিডিও প্রকাশের পর কয়েকজন হামাস নেতাকে তুরস্ক ছাড়তে বলে কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েল সরকারের তথ্য মতে, ওই হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৪০ জন জিম্মি হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ২২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিপুল প্রাণহানি নিয়ে শুরু থেকেই কঠোর সমালোচনা করে আসছেন এরদোয়ান। ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘নিধনযজ্ঞ’ চালানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বরাবরই অভিযোগ, হামাসকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তুরস্ক। তাই তহবিল জোগানো ও সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে তুরস্ককে আবারও চাপ দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
গতকাল হামাসের সন্দেহভাজন পাঁচ বিদেশি পৃষ্ঠপোষকের সন্ধান চেয়ে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ওই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন তুরস্কে থাকেন এবং ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহযোগিতা দেন বলে ধারণা করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চলতি সপ্তাহে ৩৪ জনকে আটক করেছে তুরস্ক।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর গত মাসে প্রথমবারের মতো এরদোয়ানকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন থেকে এরদোয়ান তার সুর কিছুটা নরম করেছেন। ওই ফোনালাপের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনকে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হয় তুরস্ক। ডিসেম্বরের শেষের দিকে সুইডেনের সংসদীয় কমিটি আবেদন অনুমোদন করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post