সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ ডক্টর ইব্রাহিমের আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসায়িক সফর শেষে যখন বুর্জ খলিফার তার বাড়িতে ফিরে আসেন, তখন তাকে গাড়ি পার্কিং বা পরিষ্কারের জন্য ভাবতে হয় না। কারণ বুর্জ খলিফার স্টাফরাই তার গাড়িটি নির্দিষ্ট স্থানে পার্ক করে এবং প্রয়োজনে পরিষ্কার করে দেয়। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের বাসিন্দা ডক্টর ইব্রাহিমের কাছে এটি অন্যতম প্রিয় একটি জিনিস।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে আরব আমিরাতের এ নাগরিক বলেছেন, ‘এটি ছোট বিষয় কিন্তু বড় ব্যবধান গড়ে দেয়। যখন আমি সকালে নামাজের জন্য বাইরে যাই এবং নিচে নামি; রিসিপশনে গাড়ি আমার জন্য প্রস্তুত থাকে, অপেক্ষা করে।
যদি আমার কোনো বন্ধু আসে তাহলে আমি তাদের সঙ্গে ১২৩ তলার লাউঞ্জে গিয়ে দেখা করতে পারি। সত্যি বলতে আপনাকে কখনো এই ভবন ছাড়তে হবে না যদি আপনি চান। এটিএম থেকে জিম-সুপারমার্কেট, আপনার যা প্রয়োজন তার সবই বুর্জ খলিফায় আছে।’
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি বুর্জ খলিফার দ্বার খুলে দেওয়া হয়। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। এ বছর বুর্জ খলিফা তার ১৪তম বছর উদযাপন করছে। ভবনটি তৈরি করা হয়েছে এই অঞ্চলের ইসলামিক স্থাপত্যের দ্বারা। বর্তমানে এটি বিশ্বের স্থাপত্য শিল্পের একটি অসাধারণ নিদর্শন।
গত ১৪ বছরে বুর্জ খলিফা দুবাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নিচে যে কৃত্রিম ঝরনা রয়েছে এটি ভবনটির অন্যতম একটি সুন্দর জিনিস। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক বুর্জ খলিফায় আসেন। প্রতি বছর ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষ্যে বুর্জ খলিফায় চোখ ধাঁধানো আতশবাজি ফোটানো হয়। এই আতশবাজি সামনের আসনে বসে দেখতে অনেক মানুষ কয়েক হাজার দিরহাম খরচ করেন।
বুর্জ খলিফায় পাঁচ বছর ধরে বাস করা ডক্টর ইব্রাহিম জানিয়েছেন, বুর্জ খলিফা নিয়ে তার অন্যতম পছন্দের বিষয় হলো এটি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। তিনি বলেছেন, ‘যখনই বিদেশ থেকে আমার কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যরা আসেন; তাদের আমি দুবাই মলে আসতে বলি। এখনো সবাই সহজে আসতে পারেন। মাঝে মাঝে আমরা ১২৩ তলার লাউঞ্জে বসি এবং এটি উপভোগ করি।’
এছাড়া নতুন বছরের আতশবাজিও অন্যতম পছন্দের বিষয় বলে জানিয়েছেন ডক্টর ইব্রাহিম। তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বরে কিছু কাজে আমি লন্ডনে ছিলাম। কিন্তু আমি মাসের শেষে দুবাই ফিরে আসি। বুর্জ খলিফার আতশবাজি মিস করার কোনো উপায় আমার নেই। বিশ্বের যে কোনো কিছুর জন্য হলেও।’
সেলিম মুপেন নামে এক ভারতীয় প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস। তিনি জানিয়েছেন, বুর্জ খলিফার সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এখানকার নিরাপত্তা খুবই কঠিন। ভবনে ঢোকার অনুমতি নেই এমন কোনো ব্যক্তি এখানে কখনো প্রবেশ করতে পারেন না। তার মতো যারা প্রায়ই বিভিন্ন কাজে বিদেশ যান; তাদের জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কয়েকদিন আগে ৮৫ তলা থেকে ৪৭ তলায় চলে এসেছেন সেলিম। কারণ উপরের তুলনায় নিচ তলা থেকে বুর্জ খলিফার ঝরনার সৌন্দর্য্য বেশি উপভোগ করা যায়।
এছাড়া যখন ভারত থেকে তার পরিবারের সদস্যরা আসেন এবং তাদের তিনি বুর্জ খলিফা ঘুরে দেখাতে পারেন; এ বিষয়টি সেলিমের খুব ভালো লাগে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post