সৌদি আরব ফেরত হুসনে আরা (২৯) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
জানা গেছে, বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪০মিনিটে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন হুসনে আরা (২৯) নামের এক নারী। অবতরণের পর তিনি তার পরিবারের ব্যাপারে বা নিজের বাসস্থানের ঠিকানার ব্যাপারে কিছু বলতে না পারায় এপিবিএন তার পরিবারকে খুঁজে বের করে এবং বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ব্র্যাকের সহযোগিতায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
জিয়াউল হক জানান, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সৌদি আরবে গৃহর্মীর কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেন হুসনে আরা। সেখানে এক বছরের বেশি সময় কাজ করার পর বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করেন। এসময় তিনি বিমানবন্দরে এলোমেলো ঘোরাফেরা করছিলেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নারী সদস্যরা এসময় তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। তাকে এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে নিয়ে এসে তার কাছে তার পরিবারের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় এসময় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রজেক্টের সহযোগিতা নেয় এয়ারপোর্ট এপিবিএন, পাশাপাশি হুসনে আরার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টাও করতে থাকে।
পরিবারের সদস্যদের ট্রেস করার চেষ্টায় একসময় হুসনে আরার গ্রামের বাড়ির ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করা হয়। তার সাথে কথা বলে তার পরিবারের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সংবাদ দেয়া হয়। পরিবার থেকে জানানো হয় যে, হুসনে আরার দেশে ফেরার বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না।
তার দেশে ফিরে আসার ব্যাপারেও তাদের কিছু জানানো হয় নাই। অত:পরা বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ থেকে তার মামা ঢাকায় আসেন। এবং নিজের বোনের মেয়েকে এপিবিএন এবং ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রজেক্টের তত্ত্বাবধান থেকে নিজেদের বুঝে পান। এসময় হুসনে আরার মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
হুসনে আরার মামা সৈয়দ মাহমুদ জানান, তার ভাগনি সুনামগঞ্জের বাসিন্দা এবং মো: জয়নালের স্ত্রী। গতবছর এপ্রিল মাসে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু গত ২ মাস তার সাথে যোগাযোগ ছিল না তার পরিবারের।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে, হুসনে আরার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তারা ঢাকায় আসেন এবং ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে এপিবিএন এবং ব্র্যাকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হুসনে আরাকে বুঝে নেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post