সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা হয়েছে। বিদায়ী বছরে বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৯২ কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছরের চেয়ে যা ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি ডলার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০২২ সালের শেষ মাসে যা এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৩ লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। সেই তুলনায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়েনি। কারণ, ডলারের দাম বেশি পাওয়া এবং পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় হুন্ডিতে আয় পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। শ্রমিকের তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। তবে রেমিট্যান্সে সপ্তম স্থানে রয়েছে এই দেশ।
২০২৩ সালের শেষদিকে রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। বাফেদা ও এবিবির নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে রেমিট্যান্স কিনতে পারে ব্যাংকগুলো। তবে সংকটের কারণে কিছু ব্যাংক ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা দরে ডলার কিনছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post